
সিএসবি২৪ ডেস্ক:
মসজিদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) বিস্ফোরণের ঘটনায় শিশুসহ ৩৭জন মুসল্লি দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর তল্লা এলাকা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে।
রাত দেড়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৭ জন আহত ব্যক্তিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) পুলিশ ফাড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৩৭ জন আহত ব্যক্তিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) জায়দুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আহত অনেকেই স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
দগ্ধদের মধ্যে মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক (৬০) এবং মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৫০) গুরুতর অবস্থা।
শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান, ভর্তি হওয়া প্রায় সবার অবস্থাই ‘আশঙ্কাজনক’।
সন্ধ্যায় বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন বলেন, ‘মসজিদের মেঝের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। পানি দেওয়ার সময় বুদ বুদ করে গ্যাস বের হচ্ছিল। বিস্ফোরণে অনেক মানুষ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বিস্ফোরণে মসজিদটির ছয়টি এসি পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, মসজিদের সামনের গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজের পর বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে । এতে মসজিদের ভেতরে থাকা অর্ধশতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন। দগ্ধ মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বাইরে ছুটে এসে সড়কে জমে থাকা পানিতে গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন। বিস্ফোরণে মসজিদের ছয়টি এসি পুড়ে গেছে। ভেঙে গেছে দরজা-জানালার কাচ।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ কর্মকর্তারা জানান, মসজিদের সামনের গ্যাসের লাইনে লিকেজ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে এসি চালানের সময় জানালা বন্ধ থাকায় ওই গ্যাস ভেতরে জমা হয়ে যায়। হঠাৎ করে কেউ বৈদ্যুতিক সুইচ অফ-অন করতে গেলে স্পার্ক থেকে এই বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন এবং পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমসহ র্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
পাঠকের মতামত